ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আছেন সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান।

সিসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ১০ নেতাকে পেছনে ফেলে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন প্রবাসী এই নেতা। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ‍যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তবে দলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে কয়েক মাস ধরে দেশে অবস্থান করে গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সিলেটসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দেশে ফেরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানায়। সেখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী এবং সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পরে ২৬ জানুয়ারি তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। তখন থেকেই জোরেশোরে প্রচার হচ্ছিল সিলেট নগরীতে আওয়ামী লীগের কান্ডারি হতে যাচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এই সিটি থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আরো ১০ জন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ ও আবদুল খালিক, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এ হাসান জেবুল ও আজাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ ও ছালেহ আহমদ, সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।

সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। এরপর এ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন হয়েছে। প্রতিবার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। দুইবার তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হলেও ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ২০২০ সালের ১৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কামরান।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সিসিক নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই আওয়ামী লীগের জন্য নিজেদের হারানো দুর্গ ফিরে পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আরিফুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে কিংবা দলের কোনো শক্তিশালী প্রার্থী বিদ্রোহী হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া আনোয়ারুজ্জামানের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল